বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০১:৪২ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:: ভক্তদের সঙ্গে মিস ক্রোয়েশিয়াকে ছবি তুলতে বাধা দেন পত্তাকর্মীরা।
বিশ্বকাপ ফুটবলে দর্শকদের পোশাক নিয়ে কাতার কর্তৃপক্ষের বিধিনিষেধের মধ্যেও নিজের পছন্দের আভরণে দ্যুতি ছড়াচ্ছিলেন সাবেক মিস ক্রোয়েশিয়া ইভানা নোল।
বিষয়টি সবার নজর কাড়ার পর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও নোলকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
আলোচিত এই ক্রোয়েশীয় তরুণীর ভাষায়, ‘পোশাক নিয়ে কাতার কর্তৃপক্ষের নিয়মের কথা শুনে চমকে গিয়েছিলাম, কিন্তু এখানে পৌঁছানোর পর দেখলাম তারা পোশাক নিয়ে কোনো সমস্যা করছে না। এতে আমি অবাক হয়েছি।’
বিশ্বকাপে নিজ দেশের জার্সির নকশায় তৈরি বিশেষ সংক্ষিপ্ত পোশাকের জন্য সবার দৃষ্টি ছিল নোলের দিকে। তবে তার সেই আলোড়ন নিস্তরঙ্গ করতে এবার তৎপর হয়েছে কাতার কর্তৃপক্ষ। আর ঘটনাটি ঘটেছে ক্রোয়েশিয়া বনাম ব্রাজিলের হাই ভোল্টেজ ম্যাচের দিনেই।
এ দিন স্টেডিয়ামে স্বল্পবসন নিয়ে বেশ বিপাকে পরেছেন সাবেক মিস ক্রোয়েশিয়া। স্টেডিয়ামে নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে বাধা দিয়েছেন, এমনকি ভক্তদের সঙ্গে ছবি তুলতেও দেয়া হয়নি।
এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে শুক্রবার ব্রাজিলের সঙ্গে ক্রোয়েশিয়ার খেলা শুরুর আগে তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন নোল। এতে প্রচণ্ড বিরক্ত তিনি।
জার্মান সংবাদপত্র বিল্ডকে নোল বলেন, ‘তারা ভক্তদের আমার সঙ্গে ছবি তুলতে দেয়নি। এখানে রেলিংয়ের নিচে ছবির জন্য পোজ দিতে দেয়নি। আমি তাদের জিজ্ঞাসা করেছি, কেন তারা এত অভদ্রতা করছে।’
নোলের রেসলিং পোশাকগুলো কাতারের সাধারণ আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সেই সঙ্গে এবারের বিশ্বকাপে নারী দর্শকদের কাঁধ ঢেকে রাখার ও ছোট স্কার্ট না পরার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
তবে এসবের তোয়াক্কা না করে শুক্রবার স্টেডিয়ামে নিরাপত্তারক্ষীদের বাধার মুখে পড়ার আগপর্যন্ত পর্যন্ত নোল নিজের ইচ্ছামতোই পোশাক পরেছেন।
কাতারে অবস্থানের বেশ কিছু ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন নোল। সেখানে দেখা যায়, তিনি জি-স্ট্রিং পরে সৈকতেও ঘুরেছেন।
এর আগে ক্রোয়েশিয়ার উদ্বোধনী খেলার দিনে একটি লাল-সাদা বিকিনি টপ এবং আঁটসাঁট লাল লেগিংস পরে স্টেডিয়ামে সিঁড়ি বেয়ে যাওয়ার সময় হাস্যোজ্জ্বল কাতারি ভক্তদের নোলের ছবি তুলতে দেখা যায়। স্টেডিয়ামে বহু ভক্ত নোলের সঙ্গে সেলফি তোলার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন।
ডেইলি মেইল বলছে, বিশ্বকাপের সবচেয়ে সেক্সি ফ্যান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে নোলকে।
শুক্রবারের ধাক্কা সামলে শনিবার রাতে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের ম্যাচেও স্টেডিয়ামে আলো ছড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
নোল বলেন, ‘আমি প্রিমিয়ার লিগের একজন বড় ভক্ত এবং ইংলিশ ফুটবল ভালোবাসি। ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ইংল্যান্ডের খেলা দেখা স্বপ্নই হবে।
‘অবশ্যই আমি ক্রোয়েশিয়ার জন্য উল্লাস করছি কিন্তু শনিবার রাতে আমি ইংল্যান্ডের ভক্ত হব। আমি সত্যিই চাই তারা ফ্রান্সকে হারাক। যে দুটি দলকে আমি ফাইনালে দেখতে পছন্দ করি, তাদের দেখতে পারাটা আমার জন্য খুবই উত্তেজনাপূর্ণ হবে।’
অবশ্য শনিবার সকাল পর্যন্ত এই ম্যাচের টিকিট জোগাড় করতে পারেননি মিস ক্রোয়েশিয়া। আশায় আছেন খেলার আগে ঠিক তা হাতে এসে যাবে।
নোল বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে, আমার টিকিট নেই। তাই যদি সেখানে কেউ থাকেন, যিনি আমাকে টিকিট দিতে পারেন, আমি খুব কৃতজ্ঞ থাকব। এত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে অ্যাকশনে দেখাটা আমার জন্য খুবই রোমাঞ্চকর হবে।’